শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
লাকসাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অভিযানে এক মাস ১০দিন পর উদ্ধার হয়েছে লাকসাম জংশন এলাকার মিশ্রী থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী। সে গত ৫ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে আর বাসায় ফেরেনী। এ বিষয়ে লাকসাম থানায় ৮ ফেব্রুয়ারী ও কুমিল্লা র্যাব-১১ কার্যালয়ে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরী করে। এর সূত্র ধরে গত বুধবার রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে অপহরণের মূলহোতা সহ ৪জনকে আটক করে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রী (১২) কে গত ৫ ফেব্রুয়ারী কৌশলে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নিজ বাসা থেকে পাশ্ববর্তী বাসার ভাড়াটিয়া ফেনী জেলার নোয়াবাদ গ্রামের মৃত. আবদুস সাত্তারের ছেলে এয়াকুব আলী মিন্টু (৩১) ও তার স্ত্রী জেছমিন বেগম (২৪) অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে মিন্টুর সহযোগী চট্টগ্রামের ভাড়াটিয়া এয়াছিন ও তার কথিত স্ত্রী আফরোজা আক্তার সুমির বাসায় আটক করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে এবং ভিকটিম এতে রাজী না হলে চলতো মধ্যযোগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ১৩মার্চ কুমিল্লার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এর সূত্র ধরে ওইদিন রাতে ভিকটিম ও অপহরণের মূল হোতাসহ ৪জনকে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রায় এক মাসের মধ্যে সফল অভিযানে আমরা ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত মূলহোতা সহ ৪জনকেও আটক করা হয়েছে। ওই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।